এরই কারণে বাইকের বাজারে এর চাহিদা অন্যান্যদের চেয়ে বেশি। এরই ধারাবাহিকতায়, ইয়ামাহা FZS- FI v2.0 এ-বৎসরের শুরুতে বাজারে আনে। যোগ করা হয়েছে ইয়ামাহার নতুন ফুয়েল ইনজেকশন(FL) ইঞ্জিন। যাতে উন্নত টেকনোলজির সেন্সর আর একুটেটর ব্যবহার করায় পারফর্মেন্স আর মাইলেজের কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে। মোট ওজন ও কিছুটা কমিয়ে ১৩৩ কেজিতে আনায় বাইক কন্ট্রোল করতে আগের থেকেসুবিধা পাওয়া যায়।
রিভিউ: FZS-FL V2.0 review
Yamaha FZS v2.0 প্রতিদিন ব্যবহার উপযোগী বাইক। শুধু ব্যবহার উপযোগী বলেই লোভনীয়, বিলাসী স্বপ্ন দেখাতে চাচ্ছি না। কারণ একটি বিষয় বিবেচনা করে দেখুন যখন,আপনি আপনার গন্তব্যে পোঁছানর পর বাইকটি কোন এক স্থানে পার্ক করবেন সারাদিন এটি নিয়ে ভ্রমণের পরেও এটি আপনাকে তখনও মুগ্ধ করবে।কারণ Fz series সর্বদা যেই লুক বহন করে তা আপনাকে কখনই উদাসীন করবে না। নতুন যোগ করা টায়ার এর গ্রিপ ভাল, আগের থেকেও। ইয়ামাহা FZS এর আগের ভার্সন ব্যবহারকারীরা খুশি ছিল টায়ার নিয়ে। বৃষ্টি, পিচ্ছিল বা ভাঙ্গা রাস্তায় আগের থেকে ভাল নতুন টায়ার ভালো ফল দিবে।
তাছাড়াও বাইকের ঢিলা চেইন অ্যাড করার পরও সেগুলো ড্রামের রবারগুলি সঠিকভাবে আটকে রেখেছে। যার ফলে উচ্চতর পুনর্বিবেচনায়ও বাইকটি এটির নতুনত্ব অস্তিত্বকে হারায় না। বাইক আপনার নিকট সর্বদাই নতুন মনে হতে থাকে।
সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশেFzসিরিজ ইয়ামাহার বেস্ট বিক্রিত বাইক। এই তথ্য থেকেই অবগত হওয়া যায় যে, FZS v 2.0 কতটা স্টাইলিশ ও অত্যাধুনিক। আর নতুন আউটলুকটি ও নজর কাড়বে যে কারো।
এই ভার্সনে রয়েছে ১৪৯ সিসিযুক্ত ইঞ্জিন ও ফুয়েল ইনজেকশন, ইঞ্জিনের সক্ষমতা আগের তুলনায় শক্তিশালী হওয়াতে এটি ১৩bhp তে ৮০০০rpm শক্তি এবং ১২.৮Nm এ ৬০০০ টর্ক ৬০০০rpm উৎপন্ন করে। ৪৫ কিঃমিঃ/লিঃ মাইলেজ অর্থাৎ একবার ফুয়েল ট্যাঙ্ক পূর্ণ করলে যাওয়া যাবে ৫৪০ কিঃমিঃ।
বস্তুত,নতুন ভার্সনে মাইলেজ ১৪% বৃদ্ধি পাবার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু মাইলেজ কাগজে লেখার মত এতটা না বাড়লেও ভালই বেড়েছে (৪১-৪২ কিঃমিঃ/লিটার)। তবে ব্রেকিং এ কনফিডেন্স পাওয়া গেছে আগের থেকে বেশি। রেয়ার ও সামনের ডিস্ক ব্রেক বড় ব্যাবহারের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। রাইড হিসেবে ইয়ামাহা সবসময় আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য। যেহেতু FZS-FL v2.0 এর ডিজাইন ও আকর্ষণীয়, কিছুটা গর্ব হয় বাইকনিয়ে রাস্তায় বের হলে। তবে গড়বড় লাগতে পারে গতি তোলার সময়।
এটি আগের ভার্সনগুলর মত ফার্স্ট না। শূন্য থেকে ১০০ তুলতে আগের থেকে সামান্য বেশি সময় লাগবে। আর টপ স্পিডও কিছুটা কম।
এর কারণ কি ব্যাখ্যা দিতে গেলে, ইঞ্জিনের RPM যেহেতু পিক পাওয়ার তৈরি করে সেজন্য ইঞ্জিনটাকে দায়ী করা যেতে পারে।