অন পেজ এসইও কি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, অন পেজ এসইও (On-page SEO) হল আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে করা কিছু অপটিমাইজেশন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এবং এর কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিন যেমন Google, Bing, Yahoo ইত্যাদির কাছে আরও সহজে বোধগম্য করে তোলেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ডের জন্য আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) উচ্চ র্যাঙ্কে আনা।On-page SEO Guide- অন পেজ এসইও-র প্রধান ৪টি ধাপ
অন পেজ এসইও মূলত চারটি প্রধান ধাপের ওপর নির্ভরশীল। একটি ওয়েবসাইটের জন্য উচ্চ র্যাঙ্কিং নিশ্চিত করতে এই ধাপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
- সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার (Right Set of Keywords)
- রেসপন্সিভ ডিজাইন এবং সাইট স্পিড (Responsive Design and Site Speed)
- কনটেন্ট অপটিমাইজেশন (Content Optimization)
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (User Experience)
ঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার ( Use Right Set of Keywords)
সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক Keywords ব্যবহার করা যেকোনো on page seo optimization কৌশলের একটি অপরিহার্য অংশ। ভালো মানের লংটেল (Long-tail) এবং LSI (Latent Semantic Indexing) কি-ওয়ার্ড-এর একটি সেট তৈরি করে আপনার কনটেন্ট সাজানো উচিত। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারী উভয়ের কাছেই আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিচে দেওয়া seo tips banglaগুলো মেনে চলুন:
কীওয়ার্ড রিসার্চ: আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কী ধরনের শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করে সার্চ করে, তা খুঁজে বের করুন। এটিই আপনার on page seo ki বা what is one page seo প্রশ্নের প্রথম উত্তর।
কীওয়ার্ড ডেনসিটি: আপনার আর্টিকেলে কীওয়ার্ড-এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন seo guide অনুযায়ী, ০.৫% থেকে ১% কীওয়ার্ড ডেনসিটি বজায় রাখা উত্তম। এটি করার জন্য, প্রতি ১০০০ শব্দের মধ্যে ৫-১০ বার আপনার মূল কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি শিখবেন how to check keyword density in seo।
শব্দের সংখ্যা: আর্টিকেলের জন্য ন্যূনতম শব্দের সংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। minimum word count for seo এর নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা না থাকলেও, সাধারণত ৫০০ শব্দের বেশি আর্টিকেল লেখা ভালো।
রেসপন্সিভ ডিজাইন এবং সাইট স্পিড
অন পেজ অপটিমাইজেশন-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সাইটের লোডিং গতি এবং এর রেসপন্সিভ ডিজাইন। গুগল এখন মোবাইল-ফার্স্ট ইন্ডেক্সিং ব্যবহার করে, যার অর্থ হলো মোবাইল ডিভাইসের জন্য আপনার ওয়েবসাইট কেমন কাজ করে, তা র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
রেসপন্সিভ ডিজাইন (Responsive Design) সোজা কথায়, আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই মোবাইল অপটিমাইজ হতে হবে। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ তাদের স্মার্টফোন থেকে ওয়েব সার্চ করে। তাই আপনার ওয়েবসাইট যেন সব ধরনের ডিভাইসে (মোবাইল, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ) সমানভাবে ভালোভাবে দেখা যায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সাইট স্পিড (Site Speed) ওয়েবসাইট লোড হতে যদি বেশি সময় নেয়, তাহলে ব্যবহারকারীরা দ্রুত সাইট ছেড়ে চলে যায়। এটি আপনার র্যাঙ্কিংয়ের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। page speed in seo একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। লোডিং স্পিড বা load time কমানোর জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
ইমেজের সাইজ কমানো: বড় আকারের ইমেজ লোড হতে বেশি সময় নেয়। তাই ওয়েবপি ফরম্যাট ব্যবহার করে ইমেজের মান ঠিক রেখে এর ফাইলের আকার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন।
ভালো মানের ওয়েব থিম ব্যবহার: হালকা ও দ্রুত লোডিং থিম ব্যবহার করুন।
ক্যাশিং ব্যবহার: ব্রাউজার ক্যাশিং ও পেজ ক্যাশ ব্যবহার করে পুনরাবৃত্তি ভিজিটের জন্য লোডিং সময় কমিয়ে আনুন।
অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিপ্ট বাদ দিন: অপ্রয়োজনীয় এইচটিটিপি রিকোয়েস্ট (HTTP request) এবং স্ক্রিপ্ট বাদ দিয়ে সাইটের গতি বাড়ান।
আপনার ওয়েবসাইটের on page optimization এবং স্পিড পরীক্ষা করার জন্য আপনি বিভিন্ন website optimization test টুল যেমন Google PageSpeed Insights ব্যবহার করতে পারেন।
কনটেন্ট অপটিমাইজেশন (Content Optimization)
এই ধাপটি অন পেজ এসইও-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি আর্টিকেল বা seo blog in bangla কে সার্চ ইঞ্জিন এবং পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এর কনটেন্ট অপটিমাইজেশন অত্যন্ত জরুরি। একটি ভালো কনটেন্টের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো:
মানসম্মত ও অনন্য কনটেন্ট: আপনার লেখাটি অবশ্যই পাঠকের জন্য অর্থপূর্ণ, সহায়ক এবং সম্পূর্ণ অনন্য হতে হবে। এটি সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় লেখা উচিত যাতে পাঠক সহজেই বুঝতে পারে।
শব্দের সংখ্যা: যদিও এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, তবে একটি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কমপক্ষে ৫০০ শব্দের হওয়া বাঞ্ছনীয়। minimum word count for seo এর ক্ষেত্রে, ৩০০-৫০০ শব্দের কম না রাখাই ভালো।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (User Experience)
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বা ইউএক্স (UX) হলো একজন ব্যবহারকারী আপনার ওয়েবসাইটে এসে কেমন অভিজ্ঞতা লাভ করে, তার সামগ্রিক চিত্র। এটি অন পেজ এসইও-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্রমেই বেড়ে চলা র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। গুগল শুধু আপনার কনটেন্টের মানই দেখে না, বরং ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটে আসার পর কী করে, সেদিকেও নজর রাখে।
গুগল তার অ্যালগরিদমে Navboost-এর মতো সিস্টেম ব্যবহার করে, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে একটি পেজের মান নির্ধারণ করে। Navboost মূলত ব্যবহারকারীর সার্চ রেজাল্টে ক্লিক করার পর তার আচরণ কেমন হয় তা বোঝার চেষ্টা করে।
কীভাবে গুগল user click data ব্যবহার করে?
ক্লিক-থ্রু রেট (CTR): সার্চ রেজাল্টে আপনার পেজের লিংকে কতজন ব্যবহারকারী ক্লিক করছে, তার হার।
বাউন্স রেট: আপনার ওয়েবসাইটে এসে ব্যবহারকারী যদি দ্রুত অন্য পেজে না গিয়ে সাইট ছেড়ে চলে যায়, তবে সেই হারকে বাউন্স রেট বলা হয়।
টাইম অন পেজ: একজন ব্যবহারকারী আপনার পেজে কতক্ষণ সময় ব্যয় করছে।
এই ডেটা থেকে গুগল বুঝতে পারে আপনার কনটেন্টটি কতটা উপকারী। যদি ব্যবহারকারীরা আপনার পেজে বেশি সময় কাটায় এবং বাউন্স রেট কম থাকে, তাহলে গুগল ধরে নেয় যে আপনার কনটেন্টটি মানসম্মত।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করার উপায়
সহজ নেভিগেশন: আপনার সাইটটি যেন সহজে নেভিগেট করা যায় এবং ব্যবহারকারী যা খুঁজছে তা সহজেই খুঁজে পায়।
পরিষ্কার ডিজাইন ও ফরম্যাটিং: লেখাগুলো যেন সহজে পড়া যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাইলাইট করা থাকে।
সাইটের লোডিং স্পিড: সাইট যদি দ্রুত লোড না হয়, তবে ব্যবহারকারী চলে যাবে। এটি একটি খারাপ ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের প্রধান কারণ।
আর্টিকেলে কীওয়ার্ড ও অন্যান্য উপাদান ব্যবহার
একটি সম্পূর্ণ অপটিমাইজড আর্টিকেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকা আবশ্যক:
মেটা ট্যাগ: আর্টিকেলের টাইটেলে (Keyword in Page Title) এবং মেটা ডেসক্রিপশনে (Keyword in Meta Description) আপনার মূল কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন।
হেডিং ও সাব-হেডিং: H1, H2, এবং H3 হেডিং ব্যবহার করে কনটেন্টকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন। সাব-হেডিং-এ প্রাসঙ্গিক লংটেল কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
ইন্টারনাল লিঙ্কিং: আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পেজের সাথে লিংক যুক্ত করুন। what is internal links in seo এর সহজ উত্তর হলো, এটি আপনার সাইটের বিভিন্ন পেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এর মাধ্যমে সাইটের কাঠামো আরও শক্তিশালী হয়। how many internal links per page seo এর জন্য কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই, তবে প্রতিটি আর্টিকেলে ২-৪টি প্রাসঙ্গিক ইন্টারনাল লিংক রাখা যেতে পারে।
ইমেজ অপটিমাইজেশন: প্রতিটি আর্টিকেলে অন্তত একটি ছবি থাকা উচিত, যার alt tag এ আপনার কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এটি image optimization-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়?
অন পেজ এসইও তে একটি ওয়েবসাইটের ভেতরে বিভিন্ন কাজ করতে হয়, যা সাইটের কনটেন্ট ও কাঠামোকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সহজে বোধগম্য করে তোলে এবং র্যাঙ্কিং উন্নত করে।
এর মধ্যে প্রধান কাজগুলো হলো:
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করে সেগুলোকে টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং (H1-H6) এবং কনটেন্টের মধ্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করা। প্রতিটি পেজের জন্য একটি পরিষ্কার ও SEO-বান্ধব URL তৈরি করা। ইমেজ অপটিমাইজেশনের জন্য অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করা এবং ফাইলের সাইজ কমানো। অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিংয়ের মাধ্যমে সাইটের বিভিন্ন পেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।
কনটেন্টের মান উন্নত করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য সমৃদ্ধ লেখা এবং কিওয়ার্ডের ঘনত্ব ঠিক রাখা (০.৫% - ১%)। মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করা এবং সাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানো। এছাড়াও, schema markup ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনকে কনটেন্ট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজগুলো সঠিকভাবে করলে অন পেজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
অন-পেজ এসইও চেকার ব্রাউজার এক্সটেনশন
এই এক্সটেনশনগুলো আপনার ব্রাউজারে থাকা অবস্থাতেই কোনো নির্দিষ্ট ওয়েব পেজের অন-পেজ এসইও উপাদানগুলো দ্রুত পরীক্ষা করতে সাহায্য করে:
- SEO Meta in 1 Click: এটি একটি খুবই জনপ্রিয় এক্সটেনশন যা টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং, ইমেজ অল্ট টেক্সট, লিঙ্কিং ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মেটা ডেটা এক ক্লিকেই দেখায়।
- MozBar: Moz এর তৈরি এই এক্সটেনশনটি পেজ অথরিটি (PA), ডোমেইন অথরিটি (DA), স্প্যাম স্কোর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এসইও মেট্রিক্স সরাসরি ব্রাউজারে দেখায়। এটি অন-পেজ উপাদানগুলোও হাইলাইট করে।
- Ahrefs SEO Toolbar: Ahrefs ব্যবহারকারীদের জন্য এটি খুবই কাজের একটি এক্সটেনশন। এটি পেজ এবং ডোমেইন স্তরের বিভিন্ন এসইও ডেটা দেখায় এবং অন-পেজ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
- Surfer SEO Extension: যারা Surfer SEO ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই এক্সটেনশনটি খুবই উপযোগী। এটি সরাসরি গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজে (SERP) কিওয়ার্ডের আইডিয়া এবং অন্যান্য প্রতিযোগীদের ডেটা দেখতে সাহায্য করে।
- PageSpeed Insights (by Google): যদিও সরাসরি এসইও চেকার নয়, এটি আপনার পেজের লোডিং স্পিড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে তথ্য দেয়, যা অন-পেজ এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কিছু জনপ্রিয় NLP টুলস (ব্রাউজার এক্সটেনশন বা ওয়েব-ভিত্তিক)
এই টুলসগুলো কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এবং কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য এনএলপি ব্যবহার করে:
- Surfer SEO: এটি একটি শক্তিশালী ওয়েব-ভিত্তিক টুল যা আপনাকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্য আপনার কনটেন্টকে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে। এটি প্রতিযোগীদের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে এবং আপনার কনটেন্টে কোন কোন প্রাসঙ্গিক শব্দ এবং বাক্যাংশ ব্যবহার করা উচিত তা জানায়। যদিও এর ব্রাউজার এক্সটেনশনও রয়েছে যা SERP বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
- NeuronWriter: এটিও একটি এনএলপি-ভিত্তিক কনটেন্ট অপটিমাইজেশন টুল। এটি আপনাকে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডের জন্য কনটেন্ট স্ট্রাকচার এবং শব্দ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়, যাতে আপনার কনটেন্ট আরও প্রাসঙ্গিক এবং র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বাড়ে।
- Clearscope: এটি আরেকটি উন্নত এনএলপি টুল যা কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং এসইও পেশাদারদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এটি কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কনটেন্ট অপটিমাইজেশনের জন্য ডেটা প্রদান করে।
- MarketMuse: এটি একটি AI-powered কনটেন্ট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে কনটেন্ট প্ল্যানিং, কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং অপটিমাইজেশনে সাহায্য করে।
- INK for All: এটি একটি AI কনটেন্ট রাইটিং এবং এসইও টুল যা আপনার কনটেন্টকে অপ্টিমাইজ করতে এবং উচ্চ র্যাঙ্কিং অর্জনে সাহায্য করে।
এই টুলস এবং এক্সটেনশনগুলো আপনার অন-পেজ এসইও প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর এ
আপনার ওয়েবসাইটের অন-পেজ এসইও সঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন টুলস available রয়েছে। এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার পেজের বিভিন্ন অন-পেজ উপাদান যেমন টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং, কিওয়ার্ড ব্যবহার, ইমেজ অপটিমাইজেশন ইত্যাদি বিশ্লেষণ করতে পারবেন।সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
এখানে অন পেজ এসইও সম্পর্কিত কিছু সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো।
প্রশ্ন ১: অন পেজ এসইও কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: অন পেজ এসইও হলো ওয়েবসাইটের ভেতরের বিভিন্ন উপাদান যেমন কনটেন্ট, মেটা ট্যাগ, এবং ইউআরএল অপটিমাইজ করার প্রক্রিয়া, যাতে এটি সার্চ ইঞ্জিন ও ব্যবহারকারীর কাছে সহজে বোধগম্য হয়। এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টে উচ্চ র্যাঙ্ক পেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন-এর এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন ২: একটি ওয়েবসাইটের জন্য কেন রেসপন্সিভ ডিজাইন ও সাইট স্পিড গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: একটি ওয়েবসাইটকে সব ধরনের ডিভাইসে সুন্দরভাবে দেখানোর জন্য রেসপন্সিভ ডিজাইন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে, সাইট স্পিড গুরুত্বপূর্ণ কারণ লোডিং সময় বেশি হলে ব্যবহারকারীরা দ্রুত সাইট ছেড়ে চলে যায়, যা বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেয় এবং র্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। page speed in seo গুগলের একটি গুরুত্বপূর্ণ র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।
প্রশ্ন ৩: অন পেজ এসইও-এর জন্য কী কী টুলস ব্যবহার করা যেতে পারে?
উত্তর: অন পেজ এসইও-এর জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা যায়। যেমন: অন পেজ এসইও চেকার এক্সটেনশন যেমন SEO Meta in 1 Click, Ahrefs SEO Toolbar এবং MozBar। এছাড়া, NLP টুলস যেমন Surfer SEO, NeuronWriter কনটেন্ট অপটিমাইজেশনে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৪: ইন্টারনাল লিঙ্কিং কেন অন পেজ এসইও-র জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: ইন্টারনাল লিঙ্কিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজ থেকে অন্য পেজে লিংক করা। what is internal links in seo এর সহজ উত্তর হলো, এটি আপনার সাইটের বিভিন্ন পেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন ক্রলাররা আপনার সাইটের পেজগুলো সহজে খুঁজে পায় এবং ব্যবহারকারীরা আপনার সাইটে বেশি সময় থাকে। এটি আপনার সাইটের এসইও অথরিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৫: অন পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও-র মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
উত্তর: অন পেজ এসইও বলতে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এবং কোডের অপটিমাইজেশন বোঝানো হয়, যা সরাসরি ব্যবহারকারীরা দেখতে পান। অন্যদিকে, টেকনিক্যাল এসইও হলো ওয়েবসাইটের ব্যাক-এন্ড অপটিমাইজ করা, যাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলি সাইটটি সহজে ক্রল ও ইনডেক্স করতে পারে। যেমন, সাইটম্যাপ তৈরি, রোবটস.টিএক্সটি (robots.txt) ফাইল ব্যবহার করা এবং HTTPS নিশ্চিত করা ইত্যাদি। উভয়ই একটি সম্পূর্ণ এসইও গাইড-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রশ্ন ৬: একটি আর্টিকেলে ইমেজের ভূমিকা কী এবং কেন তা অপটিমাইজ করা জরুরি?
উত্তর: একটি আর্টিকেলে ছবি বা ইমেজের ব্যবহার পাঠককে আকর্ষণ করে এবং কনটেন্টকে আরও সহজে বোধগম্য করে তোলে। তবে, বড় আকারের ইমেজ আপনার সাইটের লোডিং স্পিড কমিয়ে দিতে পারে। তাই ইমেজ অপটিমাইজেশন খুব জরুরি। ইমেজের ফাইলের আকার কমানো এবং অল্টার টেক্সট (alt tag) ব্যবহার করে কীওয়ার্ড যুক্ত করা অন পেজ এসইও-র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রশ্ন ৭: অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও-এর মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
উত্তর: অন পেজ এসইও হলো আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে করা সব ধরনের অপটিমাইজেশন প্রক্রিয়া। যেমন: কনটেন্ট লেখা, মেটা ট্যাগ অপটিমাইজ করা, ইউআরএল কাঠামো ঠিক করা ইত্যাদি। অন্যদিকে, অফ পেজ এসইও বলতে আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে করা সব কাজকে বোঝানো হয়, যা আপনার সাইটের অথরিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন: অন্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। একটি সফল এসইও কৌশলের জন্য এই দুটি ধাপই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আশাকরি, অন পেজ নিয়ে আমার লেখা আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি ভাললাগে তবে শেয়ার করে বা কমেন্ট করে উৎসাহিত করতে ভুলবেন না।